শামিম ইশতিয়াক, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের ধলা রেলওয়ে স্টেশনে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা আটকে দিয়েছেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর কমিউটার-১ ট্রেন। অবরোধের কারণে স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সকাল ৮টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এ অবরোধ চলে। এ সময় গফরগাঁও, মশাখালী ও আউলিয়ানগর রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্রসহ তিনটি ট্রেন আটকা পড়ে।
গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ট্রেনগুলোতে মাছসহ কাঁচামাল পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলাচলকৃত ট্রেনগুলোতে মাছসহ কাঁচামাল পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলা-বালিপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েন।
জানা যায়, রেলপথকে নির্ভর করে ধলা এলাকায় শতশত ফিসারি ও হ্যাচারিতে কোটি টাকার মাছের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। কিন্তু রেলে মাছ পরিবহনের নিষেধাজ্ঞার কারণে উৎপাদিত মাছ ও মাছের পোনা বাজারজাত করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তাই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যবসায়ীরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ট্রেনগুলোতে মাছ পরিবহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এ অবস্থায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর কমিউটার-১ ট্রেনটি ধলা স্টেশনে অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা। এ সময় মশাখালী রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস, গফরগাঁও স্টেশনে জামালপুর কমিউটার-২ ও আউলিয়া নগর স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র একপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। এতে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র ট্রেনের যাত্রীসহ বিভিন্ন ট্রেনের শত শত যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
ধলা স্টেশনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আশরাফ চৌধুরী বলেন, অবরোধের কারণে গফরগাঁও, মশাখালী, ধলা ও আউলিয়া নগর স্টেশনে আটকে পড়া ট্রেনের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এতে আটকে পড়া ট্রেনগুলোর সময় সূচিও এলোমেলো হয়ে যায়।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply